Campus News

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের

Mar 08, 2025

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশি‘ভাড়া ভবনে ভিসির কক্ষ সাজাতে ব্যয় ২০ লাখ টাক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।


প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, ও অভিভাবকদের মাঝে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ভবনে ভিসির কক্ষ সাজাতে ২০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।

উপাচার্যের রুম সাজানো বাবদ কোন প্রকার অর্থ ব্যয় করা হয়নি। উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষ স্থানান্তর বাবদ খরচ সরকারের অনুমোদিত খাত থেকে বিধি-মোতাবেক খরচ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটের অফিস সরঞ্জামাদি, অনাবাসিক ভবন (মেরামত ও সংরক্ষণ), স্বাক্ষবিধান (সেনিটেশন) সামগ্রী, আসবাবপত্র, মূদ্রণ ও বাঁধাই নামক কোড থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এই খাতগুলো ইউজিসি অনুমোদিত বিধায় এখানে আর্থিক অনিয়ম হবার কোন সম্ভবনা নেই। 

সংবাদে দুটি এসি, চেয়ার-টেবিল ও সোফা ক্রয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসবের কিছুই ক্রয় করা হয়নি।এসি এবং সোফাগুলো আগের অর্থবছরে ক্রয় করা হয়েছিল। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদে এখন পর্যন্ত কোন এসি এবং সোফা কেনা হয় নাই। 

এতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিবিএ-এই তিন বিভাগের ৯টি ব্যাচের ক্লাসের জন্য মোট ছয়টি শ্রেণিকক্ষ ছিল। বর্তমানে ছয় শ্রেণিকক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যে তথ্যটি সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিভাগের জন্য দু'টি করে মোট ছয়টি শ্রেণিকক্ষ পূর্বেও ছিল, বর্তমানেও ছয়টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ গত ৯ নভেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। এই সংকট থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার এবং সেকশন অফিসারকে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র এই দুইজন কর্মকর্তাই আছে আর দুইজনই দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাই এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।


লিংক-www.thedailycampus.com/engineering-university/173260/প্রকাশিত-সংবাদের-প্রতিবাদ-চাঁদপুর-বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি-বিশ্ববিদ্যালয়ের